| |
               

মূল পাতা জাতীয় আড়ি না পাতলে সন্ত্রাস দমন করব কীভাবে : প্রধানমন্ত্রী


আড়ি না পাতলে সন্ত্রাস দমন করব কীভাবে : প্রধানমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     09 February, 2023     10:02 PM    


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আড়ি পাতার বিষয়টি আইনসিদ্ধ এবং এর মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশে জঙ্গি দমনে সক্ষম হয়েছে, যদি আড়ি পাতা না যায়, তবে জঙ্গি-সন্ত্রাসী দমন করব কীভাবে? জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এগুলো যারা মদদ দেয়, তারা যে কিভাবে মদদ দিচ্ছে? আপনারা জানেন যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আমরা এটা ঠিক। এর মধ্যে আবার দেখা যায়, বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে কিভাবে বোমা বানাবে, কিভাবে জঙ্গিবাদ করবে, সেগুলো কিন্তু দেখায়। সেগুলো যদি আড়ি না পাতা যায়, তো আমরা এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করব কীভাবে? তাদের এই সমস্ত তথ্য আমরা পাব কীভাবে? কাজেই আমাদের তো এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতেই হবে। 

আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।  এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আড়িপাতা নিয়েও অনেকে কথা বলেন, কারণটা কি? কোন রহস্যের কথা বলবেন, যেটা সরকার শুনে ফেললে অসুবিধা হবে? আর সরকার শোনে না, এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাই শোনে। এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বা এই ধরনের কর্মকাণ্ড; সেগুলো রোধ করার জন্য যেটুকু করার সেটুকুই করে। তার বেশি আর কিছু করে না। এটা আইনসিদ্ধ। এটা সব দেশে আছে। আর এটা করা যায় বলেই কিন্তু যে কারণে আমরা আজকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমন করতে সক্ষম হয়েছি।  সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনভাবে অপপ্রচার দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করলাম, আর সুযোগ নিচ্ছে এসব অ্যান্টি সোশ্যাল এলিমেন্ট; এদের যে অপপ্রচার, এই অপপ্রচারের জন্য দেশবাসী যেন বিভ্রান্ত না হয়, সেটাও তাদের কাছে আমার অনুরোধ।

তিনি বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া ৬ উপ-নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। এসব নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সক্ষমতা রাখে। অনেকেই বলেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। এখানে নাকি অনির্বাচিত সরকার আনতে হবে। আমার প্রশ্ন, এই যে ছয়টি উপ-নির্বাচন, এসব নির্বাচন সম্পর্কে কেউ তো একটি কথাও বলতে পারেনি। বাংলাদেশের একজন মানুষও কি এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পেরেছে? পারেনি। তবে কিছু লোক আছে, তাদের সব সময় উল্টো কথা বলতেই হবে। এই নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এটা কি প্রমাণ করে না যে, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবেই নির্বাচন করার সক্ষমতা রাখে? সেখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি, করেও না, করবেও না।

তিনি আরো বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যই তো আমাদের আন্দোলন; জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্যই আমরা সংগ্রাম করেছি। সেই সংগ্রামের সাফল্য বয়ে এনে আজকে ভাতের অধিকার যেমন আমরা নিশ্চিত করেছি, ভোটের অধিকারও আমরা নিশ্চিত করেছি। এটিই বাস্তব। কিছু কিছু লোক বলে যাচ্ছে যে, দুই-তিন বছর অনির্বাচিত সরকার থাকলে ক্ষতিটা কী? এতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? এটি কোন ধরনের কথা? আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার আসবে, যার জন্য আমাদের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ, জেল-জুলুম অত্যাচার পর্যন্ত সহ্য করা। অব্যাহতভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই আজ দেশের উন্নতিটা মানুষের কাছে দৃশ্যমান। যারা অনির্বাচিত সরকার আনতে চায়, তারা কি দেশের সংবিধানে বিশ্বাস করে? গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে? স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে?